শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রোগীদের জিম্মি করছেন ব্যবসায়ীরা: দামও দ্বিগুন

রাজশাহীতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রোগীদের জিম্মি করছেন ব্যবসায়ীরা: দামও দ্বিগুন

রাজশাহীতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রোগীদের জিম্মি করছেন ব্যবসায়ীরা: দামও দ্বিগুন
রাজশাহীতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রোগীদের জিম্মি করছেন ব্যবসায়ীরা: দামও দ্বিগুন

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে অক্সিজেন সিলিন্ডার রোগীদের নিয়ে জিম্মি করছেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকায় সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসলে রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা সেটি রিভিল করে দিচ্ছেন না। শুধুমাত্র রাজশাহীর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অক্সিজেন সিল্ডিার কিনলেই পরে সেগুলো রিফিল করে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে রাজশাহীর তিন ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন শত শত করোনা আক্রান্ত ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা।

এমনকি অতিরিক্ত দামের কারণে অনেক রোগী বাইরে থেকে সিলিন্ডার কিনে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চাইলেই সেটি পারছেন না টাকার অভাবে।

অপরদিকে হাসপাতালেও পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না রোগীদের। এতে করে শ্বাসকষ্টজনিত আক্রান্ত রোগীরা ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। এমনকি অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে রোগীর। ঢাকায় যে অক্সিজেন সিলিন্ডিার বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকা দামে, সেটি রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার ১৫ হাজার টাকার সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৩২ হাজার টাকায়।

রাজশাহীর একজন রোগীর স্বজন কামাল হোসেন জানান, তাঁর ভাবির একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে এসেছিলেন ১০ হাজার টাকা মূল্যে। ওই রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এখন বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু বাড়িতেও প্রতিদিনই তাকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে আনা অক্সিজেন সিলিন্ডারের অক্সিজেন শেষ হয়ে গেছে গত ১২ জুন। এরপর তিনি নগরীর ঘোষপাড়া ‘স্পেক্ট্রা অক্সিজেন’ দোকানে যান সিলিন্ডারের সিলিন্ডার রিফিল করতে। কিন্তু ওই দোকানের ম্যানেজার সোহেল রানা বলেন, যেখান থেকে সিলিন্ডার কিনেছেন সেখান থেকে রিফিল করে নিতে হবে। আমাদের এখান থেকে কিনলে কেবল আমরা রিফিল করে দিব।
পরে তিনি সেখান থেকে নগরীর লক্ষীপুরের অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানে যান। কিন্তু তারাও একই কথা বলে ফিরিয়ে দেন তাকে। এতে করে তিনি ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়েন। ওদিকে অক্সিজেনের ওভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন তার ভাবি। কোন উপাই না দেখে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি ১০ লিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মাস্ক কিনেন। অথচ ঢাকায় সেটি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৫০০ টাকায়।

আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবক বলেন, ‘ঢাকায় যে সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা দামে। সেটি রাজশাহীতে বিক্রি হচ্ছে ৩২ হাজার টাকায়। কিন্তু এতো টাকায় তিনি তাঁর মায়ের জন্য একটি সিলিন্ডার কিনেছেন ১৯ হাজার ৫০০ টাকায়। অথচ ঢাকায় এটির দাম সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পড়ছে।

আবু হেনা নামের এক ব্যক্তি বলেন, রাজশাহীর তিন ব্যবসায়ী অক্সিজেন নিয়ে রোগীদের জিম্মি করেছেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে তাদের নিকট থেকেই অতিরিক্ত দামে অক্সিজেন কিনতে হচ্ছে। আবার অক্সিজেন কেনার সময় তারা বলে দিচ্ছেন, রিফিল করতে লাগবে ১৮০ টাকা। কিন্তু সিলিন্ডার তারা কখনই ফেরত নিবেন না।

এদিকে স্প্যাক্ট্রা অক্সিজেনের ম্যানেজার সোহেল রানা বলেন, বর্তমানে অক্সিজেন সঙ্কট। এ কারণে যারা আমাদের নিকট থেকে অক্সিজেন সহ আগে সিলিন্ডার কিনেছেন, তাদেরকেই আমরা রিফিল করে দিচ্ছি। তবে ঢাকার চেয়ে রাজশাহীতে খরচ বেশির কারন হিসেবে তিনি পরিবহন খরচের বিষয়টি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি রোগীদের জিম্মি করার বিষয়টি অস্বিকার করেন তিনি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply